প্রধান শিরোনামভোলা

নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর খালে ভেসে উঠলো লঞ্চ স্টাফের লাশ

ইউসুফ হোসেন অনিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট : ভোলার বোরহানউদ্দিনে পৌরসভা লঞ্চঘাটে এমভি মানিক-১ লঞ্চের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে পাখা চেক করতে খালে নেমে নিখোঁজ হওয়া ইঞ্জিন রুম স্টাফ (গ্রিজার)তাজুল ইসলাম (৫০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কায়কোবাদ মিয়ার ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

 

মারা যাওয়া তাজুল ইসলাম দক্ষিণ বদরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর কচ্ছুপিয়া গ্রামের মোসলেউদ্দিনের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এমভি মানিক লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে গ্রিজার হিসেবে কর্মরত ছিলো।

 

স্থানীয় ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার এক সহকর্মীকে সাথে নিয়ে লঞ্চের পাখা চেক করতে খালের পানিতে নামেন তাজুল। পানিতে নেমে ডুব দিয়ে লঞ্চের পাখা চেক করতে হয়। তাজুলের সহকর্মী পানি থেকে উঠে আসলেও কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সময় পেড়িয়ে গেলেও তাজুল আর পানির নিচ থেকে উঠে আসেনি। পরে লঞ্চের সুপারভাইজার সহ বাকি স্টাফরা ও ঘাট কতৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে তারা এসে তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি তাজুলকে। বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে পানিতে নামানো সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ বন্ধ করে বরিশাল থেকে ডুবুরি দল আসতে খবর পাঠায়। নিখোঁজের কয়েকঘন্টা পেড়িয়ে গেলে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল থেকে আসা ডুবুরি দলের সদস্যরা বোরহানউদ্দিন এসে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে খেয়াঘাট থেকে একটু দুরে পৌর ৯নং ওয়ার্ডে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন খালে নিখোঁজ তাজুলের স্বজনরা লাশ ভেসে থাকতে দেখে। পরে স্বজন, ডুবুরিদল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে খেয়াঘাটে নিয়ে আসা হয়।

 

পৌরসভা লঞ্চঘাট থেকে লাশটি বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের জিম্মায় নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাবে বলে জানা গেছে।

 

বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button