
ঝালকাঠিতে চাঁদা না দেয়ায় ট্রলার শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট (ঝালকাঠি), বরিশাল পোস্ট : চাঁদা না দেয়ায় ট্রলার শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগে ঝালকাঠি পৌরসভা খেয়া ঘাটের মাঝিরা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠি শহরের একটি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাঝি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেমায়েত হোসেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত মোঃ বাদল বিশ্বাস ও আমিরুল বিশ্বাস এর সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হয়ে মাঝিরা গৃহবন্দি অবস্থায় আছে। তাই পৌরসভা খেয়াঘাটের ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ২৩১৭ খুলনা) এর ২৪ জন মাঝি দীর্ঘ দিন যাবৎ সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে আসছি। জনগনের এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ নাই।
কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি কতিপয় দুর্বৃত্ত ঘাটে গিয়ে ট্রলার শ্রমিকদের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ট্রলার শ্রমিকদের বেদম মারপিট করে। ট্রেড ইউনিয়নের অফিস ভাংচুর করে এবং ট্রলার ও অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। যা এখনো পাওয়া যায়নি।
কিন্তু ১৮ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সেই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা খেয়া ঘাট বন্ধ করে জনগনকে খেয়া পারাপারে বাধাঁ দেয় এবং আটো, ভ্যান, মটর সাইকেল সহ যাবতীয় যানবাহন বন্ধ করে রাস্তা ঘাটে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ জনগনকে খেয়া পারাপার করতে দিচ্ছে না।
বর্তমানে পৌরসভার ইজারাকৃত খেয়াঘাটের পাশেই অবৈধ ভাবে একটি নতুন খেয়াঘাট নির্মাণ করতেছে যা আইন বহিভূর্ত । জনগণের বাজারঘাট ও মালামাল বহনে দুর্ভোগ ও সাধারণ জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।
তাই ঝালকাঠি বিভিন্ন মহলে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে মাঝিরা ঘাটের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে পাই এবং ছেলে মেয়ে নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বেচে থাকার জন্য ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন মহলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. এনায়েত মুন্সি, সদস্য মো. বাচ্চু বেপারী।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন,‘ পৌরসভা খেয়া ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদমান দুটি দলের মধ্যে গত তিন দিন যাবৎ ঝামেলা চলছে।
এ বিষয়ে উভয় পক্ষ মৌখিক ভাবে থানায় অবহিত করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।