
বরিশালে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ, তদন্তের নামে গড়িমসি!
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল পোস্ট : বরিশালের আমানতগঞ্জ পাওয়ার হাউজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকাশ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অভিযোগ জমা দেওয়ার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যুৎ বিভাগ। বরং গোপন সূত্রে জানাযায় অভিযোগ ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রকৌশলী।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে সরকারি বিদ্যুৎ বিভাগের একজন প্রকৌশলী যদি এভাবে সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করে, তাহলে ভোক্তারা কোথায় যাবে?
ভুক্তভোগী মনির হোসেন অভিযোগ করেন, তার পুড়ে যাওয়া মিটার পরিবর্তন ও বকেয়া বিল পরিশোধের নামে বিকাশ কুমার বিশ্বাস নগদ ১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। কিন্তু তিন মাস পার হলেও মিটার পরিবর্তন হয়নি, বরং নতুন করে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। এরপর প্রকৌশলী বিকাশ কুমার বিশ্বাস রাতে অফিস সময়ের বাইরে মনিরের বাড়িতে গিয়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং নতুন করে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ দেন। যার ভিডিও ফুটেজ
ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল ওজোপাডিকোর পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, “আমি কিছু জানি না, নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে জানুন।”
অন্যদিকে বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, ওজোপাডিকো-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, “তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তবে রিপোর্ট এখনও আসেনি।” প্রশ্ন হলো, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে প্রকৌশলীকে রক্ষার চেষ্টা চলছে কিনা?
বিকাশ কুমার বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।” কিন্তু অফিস সময়ের বাইরে গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে তাকে বদলিও করা হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন থাকে— বিদ্যুৎ বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কারণে কি এই প্রকৌশলী বারবার রক্ষা পাচ্ছেন?
সাধারন জনগনের দাবি, দ্রুত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তার সব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে। তানাহলে বরিশালের বিদ্যুৎ বিভাগ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ বছরের পর বছর প্রতারণার শিকার হতে থাকবে।