
আমাদের ময়না পাখি বরিশালের ভাষায় কথা বলতো : তারেক রহমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল পোস্ট : প্রাণী ও প্রকৃতি নিয়ে নিজের স্মৃতি-অনুভূতি-দায়িত্বের কথা জানালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোষা বিড়ালের সঙ্গে নিজের ছবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তারেক রহমান। গতকাল সোমবার তাঁর সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হয়। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। এই পর্বের একটি অংশে তিনি প্রাণী অধিকার ও প্রকৃতি নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন।
তারেক রহমানের কাছে বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিল, তাঁকে সম্প্রতি প্রাণী অধিকার রক্ষা নিয়ে বেশ সোচ্চার দেখা গেছে। এ-সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরে পোষা বিড়ালের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ছবি দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কীভাবে?
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রথমত এখানে একটু ক্লিয়ার করে নেই, বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছোটবেলার প্রসঙ্গে টানেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, এ রকম শুধু বিড়াল নয়, আমি এবং আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। ইভেন, তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন। ছাগলও ছিল আমাদের বাসায়। উনি ছাগলও কয়েকটি পালতেন। তো স্বাভাবিকভাবেই আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলেন, পোষা কুকুর-বিড়ালই বলেন, বাই দ্য ওয়ে, কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। শুধু কবুতর নয়, আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় খাঁচা ছিল। সেই খাঁচার মধ্যে কিন্তু পাখি ছিল। বিভিন্ন রকমের এবং আবার আরেকটি খাঁচা ছিল, যেটার মধ্যে একটা ময়না ছিল।’
ময়না পাখিটি বরিশাল থেকে আনা হয়েছিল বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ময়নাটা আমরা বরিশাল থেকে এনেছিলাম। ও আবার বরিশালি ভাষায় কথাও বলত। টুক টুক করে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু কথাও বলত। তো কাজেই এই বিষয়টি হঠাৎ করেই না। এই পশুপাখির প্রতি যেই বিষয়টি, এটির সঙ্গে আমি কমবেশি ছোটবেলা থেকে জড়িত আছি। হয়তো এটি এখন প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্নভাবে। বাট, এটির সঙ্গে আমি বা আমার পরিবার, আমরা অনেক আগে থেকেই আছি।’