স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল পোস্ট : বরিশাল মহানগরের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের দর্শন বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী সাজনিন আহমেদ সাদিয়া (২২) ভুল চিকিৎসার কারণে বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। গত দুই মাস ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দাঁতের ব্যথার কারণে সাদিয়া শহরের চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন আমানের শরণাপন্ন হন। প্রথমে আক্কেল দাঁতের চিকিৎসার জন্য দাঁত সোজা করার পরামর্শ দেন তিনি এবং টিথ এলেইনার তৈরির নামে টাকা নেন। পরবর্তীতে আক্কেল দাঁতের পাশের আরেকটি দাঁতে সমস্যা দেখা দিলে সেই দাঁতে রুট ক্যানেল করান চিকিৎসক।
এরপর থেকেই সাদিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। তিনি প্যারালাইসডের মতো অসাড় হয়ে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর ডা. আমান ভুল ওষুধ দেন, যা সাদিয়ার শারীরিক অবস্থাকে আরও সংকটাপন্ন করে তোলে। মুখ ও শরীরে এসিড পোড়ার মতো জ্বালা এবং মুখ-গলার ভেতরের অংশ গলে যাওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টে জানা যায়, সাদিয়াকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, সাদিয়া মারাত্মক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগটির কারণ হিসেবে চিকিৎসকের দেওয়া ভুল ওষুধকেই দায়ী করেছেন শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস. এম. সরওয়ারসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
বর্তমানে সাদিয়া শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় সাদিয়ার সহপাঠী ও তার পরিবার চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন আমানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টি পোষ্ট করে ওই চিকিৎসকের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।